বীরনগর মিত্র মুস্তাফি বাড়ির ইতিহাস ও দুর্গাপূজা, বীরনগর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর রেলপথে বীরনগর একটি স্টেশন। কলকাতা থেকে রেলপথে দূরত্ব ৮১.৬ কিমি। বীরনগর স্টেশন থেকে ২ কিমি পূর্ব দিকে উলার মুস্থাফি পাড়া। এই পাড়ার মিত্র মুস্থাফিদের রাধাকৃষ্ণের জোড়বাংলা মন্দিরটি বিখ্যাত। এই মন্দিরটি সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন :
বীরনগরের প্রাচীন নাম উলা। উলা নামকরণ সম্পর্কে নানান লোকশ্রুতি প্রচলিত আছে। উলুবন পরিষ্কার করে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় বলে নাম হয় উলা। আবার অনেকে বলেন এই গ্রামের প্রাচীন ও বিখ্যাত দেবতা উলাই চণ্ডীর নামানুসারে নাম হয় উলা। এখানে একসময় গ্রামবাসীদের চেষ্টায় এক দুর্ধর্ষ ডাকাতদল ধরা পড়লে ইংরেজ সরকার উলার নতুন নামকরণ করেন বীরনগর অর্থাৎ বীরদের নগর।
উলার প্রাচীন জমিদার মুস্তৌফি বংশের প্রতিষ্ঠাতা রামেশ্বর মিত্র মুর্শিদকুলী খাঁর রাজত্বকালে বাংলার মুস্তৌফি (= নায়েব কানুনগো ) পদে নিযুক্ত হন।
মিত্র মুস্তাফিদের কাঠের তৈরি কারুকার্যশোভিত একটি দুর্গামণ্ডপ ছিল। শোনা যায় সেই সময় এই দুর্গামণ্ডপটি দেখার জন্য বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক লোক এখানে হাজির হতেন। অনেক দিন হল সেটি একপ্রকার বিনষ্ট। শুধু কাঠের ওপর খোদাই করা কয়েকটি থাম বা কড়ি এখন অবশিষ্ট আছে। কীটপতঙ্গের অত্যাচারে সেগুলিও এখন জীর্ণ-দীর্ণ। নতুন করে দুর্গামণ্ডপটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই নতুন দুর্গামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কী ভাবে যাবেন ?
মুস্থাফি বাড়ি যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার বা কৃষ্ণনগর লোকালে উঠুন। নামুন বীরনগর স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব দিক থেকে টোটো বা রিকশায় উঠে পৌঁছে যান মুস্থাফি বাড়ি।
সঙ্গের ছবিগুলো ২০১৮ সালের অষ্টমীর দিন তোলা।
মুস্থাফি বাড়ি যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার বা কৃষ্ণনগর লোকালে উঠুন। নামুন বীরনগর স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব দিক থেকে টোটো বা রিকশায় উঠে পৌঁছে যান মুস্থাফি বাড়ি।
সঙ্গের ছবিগুলো ২০১৮ সালের অষ্টমীর দিন তোলা।
দুর্গা প্রতিমা - ২ |
দুর্গা প্রতিমা - ৩ |
দুর্গা প্রতিমা - ৪ |
********
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন